ঋতুগত কারণে প্রকৃতিতে এখন শীত। আর শীতের আমেজ শুরু হতেই গা গরম রাখতে মোটা বা শীতের কাপড় বের করেছি আমরা। এরইমধ্যে কেউ কেউ আবার গোসলে গরম পানি ব্যবহার শুরু করেছি। সবই মূলত শীতের কষ্ট থেকে নিজেকে মুক্তির জন্য।
এদিকে শীত শুরু হতে না হতেই কেউ কেউ গরম পানি দিয়ে গোসলের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে শুরু করেছেন তর্ক-বিতর্ক। কেউ গরম পানি দিয়ে গোসলের পক্ষে কথা বলছেন, আবার কেউ বিপক্ষে কথা বলছেন। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি কি গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন, নাকি করবেন না? ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী শীতে গরম পানি দিয়ে গোসলের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নেয়া যাক।
শীতে গরম পানিতে গোসলের উপকারিতা:
১. পেশী শিথিল ও চাপমুক্ত করে: শীতে হালকা গরম পানিতে গোসল করলে পেশী টানটান থাকে। নানা ধরনের চাপও প্রশমিত করে। ঋতুগত কারণে শীতে যেসব ব্যথা বা ক্লান্তি অনুভব হয়, তাও দূর হয়।
২. রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: গরম পানি রক্তনালীকে প্রসারিত করে, রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সহায়তা করে। এ জন্য ঠান্ডা আবহাওয়ায় গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
৩. সাইনাসের সমস্যায় মুক্তি: শীতের সময় গরম পানি দিয়ে গোসল করলে নাসাকিসংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। নাকের ভেতরে থাকা ময়লা দূর হয়। এ জন্য শীতে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন।
শীতে গরম পানিতে গোসলের অসুবিধা:
১. ত্বক শুষ্ক হওয়া: তীব্র গরম পানি দিয়ে গোসল বা দীর্ঘদিন ধরে গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল দূর হতে থাকে। ফলে শীতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ত্বক শুষ্ক হওয়ার সেই প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এমনকি ত্বক জ্বালাপোড়া ও চুলকানির মতো সমস্যা হতে পারে।
২. ত্বকের স্তরে বাধা: গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের বাইরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। এ জন্য ত্বক ভালো রাখতে অনেকেই গরম পানি দিয়ে গোসল করেন না।
৩. ত্বকের ক্ষতি করা: গরম পানি চর্ম সংক্রান্ত সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে। অনেক সময় ত্বকের প্রয়োজনীয় তেল হারিয়ে ফেলে। চর্ম ও ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা গরম এড়িয়ে চলাই ভালো।
খুলনা গেজেট/এনএম